বৃহস্পতিবার (০১ মার্চ) বিকেলে পিলখানায় বিজিবির সদর দপ্তরে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিজিবির অতিরিক্ত মহা পরিচালক (অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবত সীমান্তে মিয়ানমার সেনা সদস্যরা জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে বাধা দিচ্ছে।
যেকোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বিজিবির সদস্যরা দেশ মাতৃকার তরে নিবেদিত প্রাণ থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুর রহমান।
বিজিবির অতিরিক্ত মহা পরিচালক আরো বলেন, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পোস্টের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তের দেড়শ’ গজ ভিতরে মিয়ানমার সেনা সমাবেশ করেছে। পিকআপ, ট্রাক ও লরিতে করে ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে। পারস্পরিক আলোচনা ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আমরা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি মিয়ানমারকে। অবশ্যই তারা পতাকা বৈঠকের জবাব দেবে এবং এ পরিস্থিতির সমাধান পতাকা বৈঠকের মাধ্যমেই হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বৈঠকে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। তাই এমন কোনো পদক্ষেপ তাদের নেওয়ার কথা নয়। এটি কোন উস্কানির পর্যায়ে পড়ে না। তাদের নিশ্চয়ই কোনো পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান জানার জন্যই পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে মিয়ানমারকে।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এখনও এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে, অন্য কোন বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে মিয়ানমার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে বলেই আমরাও বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অতিরিক্ত সেনা মিয়ানমার কেন মোতায়েন করলো সেটা বৈঠকের পরই আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এসজেএ/এমজেএফ