ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যৌন নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলনের ডাক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৮
যৌন নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলনের ডাক যৌন নির্যাতন বিরোধী শিক্ষার্থী জোটের মানববন্ধন। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: রাঙামাটির বিলাইছড়িতে দুই নারী ও নাটোরের শিশু ওপর ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পাল করেছে যৌন নির্যাতন বিরোধী শিক্ষার্থী জোট।

এসময় নারী ও শিশু ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধে দেশবাপী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা। বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন- স্থপতি ভাস্কর রাশা, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সহ-সম্পাদক সংগীতা ইমাম, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।  

ভাস্কর রাশা বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত আমাদের দেশ।  নারী ও শিশুর প্রতি বর্তমানে যে যৌন সহিংসতা হচ্ছে, তা এ দেশ কখনও দেখেনি। সহিংসতায় জড়িত ঘাতকদের বিচার ত্বরান্বিত করার পরিবর্তে গতিহীন হচ্ছে। এ ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশজুড়ে স্কুল-কলেজসহ সবখানে সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন করতে হবে।

শিক্ষা ব্যবস্থায় যৌনতা বিষয়ে পড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সময় এসেছে যৌনতা বিষয়টি শিক্ষা ব্যবস্থা অর্ন্তভুক্ত করার। আমাদের যৌনতা বিষয়ে পড়ানো হয় না বলে সমাজে বিকৃত যৌনতার ব্যাধি প্রবেশ করেছ। আর যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তাহলে সমাজ গতিহীন হয়ে পড়বে।

সংগীতা ইমাম বলেন, বর্তমানে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতার ঘটনা দেখে আমরা স্তম্ভিত। যুগে যুগে নারীকে অবজ্ঞা দেখানোর ফলেই আজকে এমন ঘটনা ঘটছে। সহিংসতা বন্ধে, নারীকে সম্মান করতে শেখতে হবে। ঘরে ঘরে শিশুদের নারীকে সম্মান করানোর বিষয়টি শিক্ষা দিতে হবে। পরিবার থেকে অবজ্ঞা করা শিখলে ভবিষ্যতে ওই প্রজন্মের দ্বারা নারী নির্যাতিত হবে। স্কুল-কলেজেও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।  

মানববন্ধনে অন্য বক্তরা বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে, নারী-শিশু নির্যাতন ও সহিংসতায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত। সরকার অপরাধীদের বিচার না করে ঘটনার ধামাচাপা দিচ্ছে। ফলে সহিংসতা দিন দিন বেড়েই চলছে। নারীর প্রতি এ সহিংসতা বন্ধ করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে।

এসময় তারা রাঙামাটির বিলাইছড়ির দুই নারী নির্যাতনের ঘটনায় মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাষ্ট্রের চতুর্থ এ স্তম্ভের নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৮
এমসি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।