বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর বিকেলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তানভীর আহমেদ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার স্বল্পযশোদল এলাকার মৃত সোহরাব উদ্দিনের ছেলে মোগল এ আজম (৪৫), একই উপজেলার চিকনীরচর এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (৩০), নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর এলাকার মো. ফজলুর রহমানের ছেলে মো. আলমগীর হায়দার (৩৬) ও তার স্ত্রী নাসরিন (২৮), কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল শ্রীনগর এলাকার আ. জলিলের মেয়ে যতি ওরফে স্বপ্না (২১) এবং সদর উপজেলার দক্ষিণ রাজকুন্তি বৌলাই সাহেববাড়ি এলাকার মো. মুনতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. জুয়েল (৩২)।
পুলিশ জানায়, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর এলাকার মৃত আনসার উদ্দিনের ছেলে শাহীনকে (২৫) পরিচয়ের সূত্র ধরে মোবাইলে ২৭ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জে নিয়ে আসেন যতি ওরফে স্বপ্না (২১)। পরে কিশোরগঞ্জ সদরের দক্ষিণ রাজকুন্তি বৌলাই সাহেববাড়ি এলাকার আত্মীয়র বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে শাহীনকে সেখানে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে পিটিয়ে ঘরে বন্দি করে শাহীনের পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করা হয়। খবর পেয়ে শাহীনের খালাতো ভাই আনিসুল হক মুক্তিপণের দেড় লাখ টাকা নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মোগল এ আজম ও শফিকুলের নিকট টাকা দেন। কিন্তু প্রতারকরা টাকা পেয়েও শাহীনকে মুক্তি না দেওয়ায় আনিসুল হক বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ শাহীনসহ মুক্তিপণের ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তানভীর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শাহীন বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে তাদের কিশোরগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এনটি