তিনি বলেন, আপনারা পথভ্রষ্ট হবেন না। সবাই এক থাকুন।
শনিবার (৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর হাজীপাড়া জামিয়া ইকরা মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, কওমি মাদরাসা গুলোকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আলাদা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ট আন্তরিক।
তিনি বলেন, যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তারা মুসলিম নামের কলঙ্ক। সারাবিশ্বে মুসলমানদের ওপরে কলঙ্কের কালিমা লেপন করার জন্যই এ ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সেই ষড়যন্ত্রকারীদের দমন করতে পেরেছি। মানুষের জান-মালের ক্ষতি করা এ ধর্মের কাজ নয়, এটা আমরা প্রমান করেছি।
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের নেতৃত্বে যে এক লাখ আলেম জঙ্গিবাদ বিরোধী ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেছেন, তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদরাসায় কোনো জঙ্গিবাদের জন্ম হয় না। মাদরাসা থেকে মেধাবী ছেলেরা বেরিয়ে আসবে। যারা আমাদের দেশের নেতৃত্ব দেবে।
মাওলানা আসআদ আল হুসাইনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর।
আলেমদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ, খুলনার মাওলানা মুজাফফর আহমদ, কিশোরগঞ্জের মাওলানা হিফজুর রহমান, ফরিদপুর ভাঙ্গার মুফতি আবদুর রহীম, খুলনার মুফতি আবুল কাসেম, মাওলানা আইয়ুব আনসারি, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমি, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফি, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা আরিফ উদ্দিন মারুফ, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মুফতি আবদুল কাইয়ুম খান, মুফতি মুহাম্মদ আলীমাওলানা মাজহার ও মাওলানা এনামুল প্রমুখ।
বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়্যা বাংলাদেশ প্রথম বোর্ড পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী ছাত্রদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
এমএইচ/আরআইএস/