সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশের পর। কিন্তু এখনো সে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়নি।
সীমানা পুর্নির্ধারণ আইনেও বলা হয়েছে, আদমশুমারির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১০ বছর অন্তর অন্তর সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
ইসির যুগ্ম সচিব পর্যায়ে কর্মকর্তারা বলছেন, বড় পরিসরে সব আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনতে গেলে অনেক মামলা হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া আইনি জটিলতায় পড়বে। কেননা, যারা বর্তমান সীমানাতে থাকতে চাইবেন, তারাই মামলা করবেন। অতীতেও এমন হয়েছে। এছাড়া সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে হবে আগামী অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে। তাই সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সময়ও হাতে নেই।
এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা উচিত হবে না। তবে কিছু অনিবার্য কারণে কোনো কোনো আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা যেতে পারে।
অনেক এলাকায় নতুন ইউনিয়ন, গ্রাম, কোথাও পৌরসভা সৃষ্টি হয়েছে। আবার বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোও অনেক ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙন জনিত কারণেও কিছু কিছু আসনের সীমানা পরিবর্তন হয়েছে। কেবল এমন আসনগুলোর সীমানাই পুনর্বিন্যাস যোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অবসরে যাওয়া ইসির উপ-সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে যেটা দেখতে পাই, তা হলো বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হলে অনেক মামলা হবে। কেননা, আদমশুমারি না হওয়ায় ইসির শক্ত কোনো ভিত্তি নেই। তাই বড় পরিসরে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। এ কর্মকর্তা তার সময়ে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গেই বেশি সম্পৃক্ত ছিলেন।
ইতোমধ্যে বিএনপিসহ বেশ কিছু দল ২০০১ সালের সীমানায় ফিরে যেতে ইসির কাছে দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও সংলাপে এসে সীমানা পুনর্নির্ধারণ না করার সুপারিশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/