ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সীমানা পুনর্নির্ধারণে আনবে আইনি জটিলতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৮
সীমানা পুনর্নির্ধারণে আনবে আইনি জটিলতা

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু সীমানা পুনর্নির্ধারণ করলে মামলা জটিলতায় পড়তে পারে পুরো নির্বাচন।

সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশের পর। কিন্তু এখনো সে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়নি।

বর্তমানে যে প্রতিবেদন রয়েছে সেটি প্রকাশ হয়েছে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনেরও আগে। আর সে প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিলেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। যে কারণে একই আদশুমারির প্রতিবেদনের পুনরায় সীমানা পুনর্নির্ধারণ হতে পারে না। কেননা, সে সময়ের চেয়ে জনসংখ্যা বেড়েছে অর্ধকোটির মতো।

সীমানা পুর্নির্ধারণ আইনেও বলা হয়েছে, আদমশুমারির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১০ বছর অন্তর অন্তর সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

ইসির যুগ্ম সচিব পর্যায়ে কর্মকর্তারা বলছেন, বড় পরিসরে সব আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনতে গেলে অনেক মামলা হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া আইনি জটিলতায় পড়বে। কেননা, যারা বর্তমান সীমানাতে থাকতে চাইবেন, তারাই মামলা করবেন। অতীতেও এমন হয়েছে। এছাড়া সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে হবে আগামী অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে। তাই সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সময়ও হাতে নেই।

এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা উচিত হবে না। তবে কিছু অনিবার্য কারণে কোনো কোনো আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা যেতে পারে।

অনেক এলাকায় নতুন ইউনিয়ন, গ্রাম, কোথাও পৌরসভা সৃষ্টি হয়েছে। আবার বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোও অনেক ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙন জনিত কারণেও কিছু কিছু আসনের সীমানা পরিবর্তন হয়েছে। কেবল এমন আসনগুলোর সীমানাই পুনর্বিন্যাস যোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি অবসরে যাওয়া ইসির উপ-সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে যেটা দেখতে পাই, তা হলো বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হলে অনেক মামলা হবে। কেননা, আদমশুমারি না হওয়ায় ইসির শক্ত কোনো ভিত্তি নেই। তাই বড় পরিসরে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। এ কর্মকর্তা তার সময়ে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গেই বেশি সম্পৃক্ত ছিলেন।

ইতোমধ্যে বিএনপিসহ বেশ কিছু দল ২০০১ সালের সীমানায় ফিরে যেতে ইসির কাছে দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও সংলাপে এসে সীমানা পুনর্নির্ধারণ না করার সুপারিশ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।