শনিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আইজিসিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় শিল্পীরা কবি নজরুলের বিভিন্ন গান, গজল ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয় হরণ করেন। বিশেষ করে কবি দৌহিত্র খিলখিল কাজীর আবৃত্তি এসময় অনেকের মন জয় করে নেয়।
অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলামের নাতনী খিলখিল কাজী ‘সাম্যবাদী’ও ‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার’ কবিতাসহ কবির বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত শিল্পী সালাউদ্দীন আহমেদ পরিবেশন করেন ‘গভীর নিশিথে’ ও ‘সে চলে গেছে বলে’সহ বিভিন্ন গান।
এসময় যন্ত্রে অনুসঙ্গ দেন নাসির উদ্দীন (গীটার), জুয়েল আবেদীন (কী-বোর্ড), মো. মনিরুজ্জামান (বাঁশি), প্রদীপ কর্মকার (অক্টোপ্যাড)।
ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (আইজিসিসি) পরিচালক জয়শ্রী কুণ্ডু বলেন, সমাজ ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশের জাতীয় এ কবি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ, তথা দুই বাংলাতেই তার কবিতা ও গানে সমানভাবে সমাদৃত। আর মহান এ ব্যক্তিকে স্মরণ করতেই আইজিসিসির এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
খিলখিল কাজী ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেন এবং এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। দেশ-বিদেশের বহু মঞ্চে তিনি সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে নজরুল পুরস্কার ও ২০০৩ সালে ভারত সরকার থেকে ক্রেস্ট অব অনার লাভ করেন।
সালাউদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশের একজন প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পী। তিনি নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের একজন শিক্ষক।
বাংলাদেশের বহু সঙ্গীতশিল্পী তার কাছে সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। নজরুলগীতি ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উভয় ক্ষেত্রেই তিনি সমান উজ্জ্বল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
এইচএমএস/আরআইএস/