টার্মিনাল হকারমুক্ত রাখতে যেকোন কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি। এসময় সদরঘাট জুড়ে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার বন্ধ করে একটি ট্যানেল নির্মাণের ইচ্ছার কথাও জানান মন্ত্রী।
রোববার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় নৌ পরিবহন ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডাকা আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবারের ধারণ করা সদরঘাটের একটি ভিডিও চিত্র সভায় প্রদর্শন করা হয়। যেখানে ঘাটের বিশৃঙ্খল চিত্র দেখা যায়।
নৌঘাটে হকারদের কারণে যাত্রী হয়রানির প্রসঙ্গ তুললে মন্ত্রী বন্দর কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। এসময় জয়নাল কোনো হকার নেই জানালে মন্ত্রী ভিডিও চিত্রের কথা বলে তাকে দায়িত্ব পালন থেকে সরিয়ে দিতে ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ঘাটের আনসার পুলিশ সবাইকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, ২০১৬ এবং ১৭ এ দুই বছরে দেশে কোথাও লঞ্চ ডুবির ঘটনা নেই। পটুয়াখালীতে একটি ঘটনা ঘটেছে সেটি আমাদের নয়। তার দায় আমাদের ওপর পড়ে না।
সভায় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে যাত্রীদের সচেতনতা বাড়ানোর কথাও বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী দায়িত্বরত পুলিশকে ডেকে বলেন, টার্মিনাল হকারমুক্ত চাই। যাদের যোগসাজশে এসব হচ্ছে তাদের কাউকে রাখবো না। কাউকে খাতির করে যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলবো না। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
এছাড়া হকারমুক্ত পরিবেশ, নিয়মিত মাইকিং, ঘাট মনিটরিং ইত্যাদি বিষয়েও নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৮
এসএ/আরএ