ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারেই অডিটোরিয়ামের ছাদ ধস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৮
নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারেই অডিটোরিয়ামের ছাদ ধস

ময়মনসিংহ: নিম্নমানের উপকরণ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই গফরগাঁওয়ে জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন অডিটোরিয়াম নির্মাণ কাজে ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম জানান, আমরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

প্রাথমিকভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।  

জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের অর্থায়নের গফরগাঁও পৌর শহরের ডাকবাংলো সংলগ্ন স্থানে প্রায় ৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ আসনবিশিষ্ট একটি আধুনিক অডিটোরিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত বছর। অডিটোরিয়ামের নির্মাণ কাজ পায় মেসার্স রতন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।  

মেসার্স রতন এন্টারপ্রাইজ একজন সাব ঠিকাদারের কাছে গফরগাঁওয়ের আধুনিক অডিটোরিয়ামের নির্মাণ কাজটি বিক্রি করে দেয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে অডিটোরিয়াম নির্মাণ কাজের ছাদ ঢালাই চলছিলো। ছাদ ঢালাই শুরু হওয়ার পরপরই বিকট শব্দে অডিটোরিয়ামের সামনের অংশ ধসে পড়ে।  

এতে ঘটনাস্থলেই ধসে পড়া ছাদে নিচে চাপা পড়ে শাহজাহান মিয়া নামে এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরো ১০ শ্রমিক।  

এদিকে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, অডিটোরিয়াম নির্মাণে দরপত্রে সেন্টারিংয়ে স্টিলের খুঁটি ও স্টিল শিট ব্যবহার করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের আদেশ অমান্য করে সেন্টারিংয়ে নিম্নমানের বাঁশের খুঁটি ও কাঠ ব্যবহার করে। ফলে ঢালাইয়ের সময় লোড সামলাতে না পেরে অডিটোরিয়ামের ছাদ ধসে পড়ে।  

ছাদ ধসে হতাহতের ঘটনায় ওই দিনই জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম লোকমান হোসেনকে প্রধান করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।  

নিহত শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী বেদেনা খাতুন অভিযোগ করেন, আমার স্বামী দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর আমি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান আমাকে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮ 
এমএএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।