সোমবার (৫ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম) আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম ছয় আসামির উপস্থিতিতে এ দণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার মশিপুর গ্রামের মৃত সিরাজ সরকারের ছেলে আব্দুল হাকিত (৪৬), মৃত কোরবান ব্যাপারির ছেলে হাচেন আলী (৩৮), মৃত মনছের আলীর ছেলে লোকমান (৫৩), ইউনুস আলীর ছেলে হাসান আলী (৩৩), একই উপজেলার কায়েমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রানা (৩৩), মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে নবির হোসেন (৩৬) ও বাতিয়ারপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৩)।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট আনোয়ার পারভেজ লিমন বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার কায়েমপুর গ্রামের সাহেব আলীর ১১ বছরের শিশু কন্যা খুশি খাতুন ২০১০ সালের ১৬ জুলাই বিকেলে পার্শ্ববর্তী মশিপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের বাড়িতে তার মেয়ে আখি খাতুনের (৯) সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন বিকেলে কায়েমপুর মৌজার একটি পাট ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নিহত শিশু মা সাগরি খাতুন বাদী হয়ে আব্দুল হাকিমকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারি কর্মকর্তা। এদিকে, বিচারকার্য চলাকালীন নবির মোল্লা নামে এক আসামি জেলহাজতে মারা যান। শুনানী শেষে মামলার বাকি সাত আসামির মধ্যে ছয়জন আদালতে উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৮ আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা
এনটি