অভিযোগে প্রকাশ, গত অর্থ বছরে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক রোগীদের পথ্য সরবরাহের কাজ করেন মেসার্স আবু বক্কর ট্রেডার্স। চলতি অর্থ বছরে একই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পথ্য সরবরাহের কাজটি পান।
কাজ পাইয়ে দেওয়ার অযুহাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট মোবাইল সেট দাবি করেন হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তা না দেওয়ায় তার গত অর্থ বছরের জামানতের এক লাখ ২০ হাজার টাকা আটকে দেন তিনি।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লিখিত আদেশে গত অর্থ বছরের জামানতের এক লাখ ২০ হাজার টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেন। কিন্তু প্রধান অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম দাবিকৃত উৎকোচ না পাওয়ায় তার আগের জামানতের টাকা ফেরত দেননি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রোভাইডার আবু বক্কর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, কাজের অনুমতিপত্র পেলেও দাবিকৃত উৎকোচ না দিলে নতুন করে ঠিকাদারী করতে দেওয়া হবে না। একই কারণে গত অর্থ বছরের জামানতের টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না প্রধান অফিস সহকারী। তাই বাধ্য হয়ে রোববার (৪ মার্চ) লালমনিরহাট সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তবে উৎকোচ দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত অর্থ বছরের অডিট না হওয়া পর্যন্ত জামানতের টাকা ফেরত দেওয়ার নিয়ম নেই। নিয়ম না থাকলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লিখিত নির্দেশনা দিলেন কেন? এমন প্রশ্নের কোনো মন্তব্য করেননি রফিকুল।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. কাশেম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, অর্থ বছর শেষ হলে সব রকম চুক্তিনামা ও জামানত ফেরত দেওয়া হয়। তবে আদিতমারীতে কেন আটকে রাখা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
আরএ