সোমবার (০৫ মার্চ) শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উৎসব আয়োজক কমিটি।
আয়োজক কমিটি সদস্যরা বলেন, ফেনীতে একটি উৎসব সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় আয়োজক কমিটি লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানান, সাড়ে তিনশো বর্গমাইলের এ ফেনী জেলার বয়স জেলা হিসাবে খুব বেশি না হলেও এ জনপদের রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। এ জনপদের মানুষের রয়েছে স্বতন্ত্র বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃজনশীল প্রতিভা। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও এ জেলার মানুষ রাখছে অসামান্য অবদান।
যার ধারাবাহিকতায় জাতীয় অর্থনীতির রেমিটেন্স খাতে এ জেলার অবদান অন্যতম। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির যেকোনো শাখায় এ জনপদের প্রতিভাবানদের স্বাক্ষর রয়েছে। ফেনীর মানুষ ভোজনরসিকও বটে। স্বাদ ও রুচির বৈচিত্র অনুসারে এখানে গড়ে উঠেছে নানারকম খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি হয়েছে অনেক কর্মসংস্থান। যুবসমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এ বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি খাবার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে ‘ফেনী ফুডিস’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ।
ফেনীর মানুষের খাদ্যাভ্যাস, রুচি এইসব বিষয়ে মুক্তমত প্রকাশের একটি প্ল্যাটফর্ম ফেনী ফুডিস। ফেনীর ভোজনরসিকদের অংশগ্রহণে গত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফেনী ফুডিস কাজ করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, একঝাঁক সৃজনশীল তরুণের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ক্রিয়েটিভ হাউজ ‘সেভেনটিন’ সবসময় নতুনত্বে আগ্রহী। যেহেতু ফেনীতে এরআগে কখনো এমন উৎসব হয়নি, সেহেতু সেভেনটিন ও ফেনী ফুডিস যৌথভাবে এমন একটি উৎসব আয়োজনে আগ্রহী হয়।
উৎসবের নাম নির্ধারিত হয় ‘১ম ফুডিয়ানা ফুড ফেস্ট-২০১৮। আগামী ৮মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রথম ফুডিয়ানা ফুড ফেস্টের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মনোজ কুমায় রায়। আগামী ৮ থেকে ১০মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উৎসব চলবে। এ উৎসবে মোট স্টল সংখ্যা ২০টি।
এর মধ্যে ৪টি স্টল আয়োজক ও স্পন্সরের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ১৬টি স্টল দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এক. বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, দুই. ঘরোয়া খাবার পরিবেশক। স্টলগুলো গতানুগতিক ডিজাইনে না করে বাঁশ, বেড়া, ছন, হোগলা, চট দিয়ে সাজানো হয়েছে। এছাড়াও থাকবে বর্ণিল আলোকসজ্জা।
প্রতিটি স্টলের প্রতিনিধিরা তাদের স্টলে পণ্যের বিক্রয় ও বিপণন পরিচালনা করবেন। উৎসবে কিছু খাবার বিষয়ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। আগত অতিথি ও দর্শনার্থীর মনোরঞ্জনের জন্য সন্ধ্যার পর থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেষে রয়েছে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
আয়োজকরা জানায়, প্রচারণার ক্ষেত্রে ‘১ম ফুডিয়ানা ফুড ফেস্ট’ কিছু নীতিমালা অনুসরণ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইভেন্ট তৈরি এবং সেই ইভেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমেই মূলত প্রচারিত হচ্ছে ‘ফুডিয়ানা’। এছাড়া মিডিয়া পার্টনা হিসেবে দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এ উৎসবের প্রচারণা চালাচ্ছে। শব্দ দূষণকারী মাইক, দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুন এসব পরিবেশ বিরোধী মাধ্যমে ‘ফুডিয়ানা’ কোনো প্রচার করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও 'ফুডিয়ানা' যথেষ্ট তৎপর।
সংবাদমাধ্যমগুলো যাতে মেলা চলাকালীন সময়ে সংবাদ সংগ্রহে সুবিধা হয়, সেজন্য ‘ফুডিয়ানা’তে থাকছে তথ্য কেন্দ্র। সেখান থেকে যে কেউ উৎসব বিষয়ক যেকোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন, তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগীতায় থাকবে দেশের সর্বাধিক পঠিত দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
আয়োজকদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইমন উল হক, রিপন মজুমদার, আজিম খসরু জ্যাকি প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাট্যকর্মী তাহমিনা তোফা সীমা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
এসএইচডি/ওএইচ/