ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রাইড শেয়ারিং নীতিমালা কার্যকর ৮ মার্চ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০২ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৮
রাইড শেয়ারিং নীতিমালা কার্যকর ৮ মার্চ প্রতীকী

ঢাকা: মোবাইল অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনা করতে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া নীতিমালা আগামী ৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। 
 

সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা, ২০১৭’ কার্যকরের আদেশ জারি করা হয়েছে।
 
গত ১৫ জানুয়ারি রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

২৮ ফেব্রুয়ারি ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা, ২০১৭’ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
 
‘উবার’, ‘পাঠও’সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মোবাইল অ্যাপভিত্তিক এ সেবা দিয়ে আসছে। সেবাটি একটি নিয়মের মধ্যে আনতে ১১টি শর্ত দিয়ে নীতিমালা তৈরি করে সরকার।
 
রাইড শেয়ারিং পরিচালনার জন্য বিআরটিএ’র নিকট থেকে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে একটি এনলিস্টমেন্ট সনদ নিতে হবে। মোটরযানের মালিক সনদ গ্রহণ করবেন।
 
রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের টিআইএন ও ভ্যাট থাকতে হবে। তবে কোম্পানি হলে প্রাইভেট-পাবলিক কোম্পানির শর্তাবলী মেনে চলতে হবে।  
 
যাত্রী চাহিদা, সড়ক নেটওয়ার্কের ক্যাপাসিটি, রাইডিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ইত্যাদি বিআরটিএ থেকে নির্ধারণ করা হবে।
 
রাইড শেয়ারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস এলাকায় অফিস থাকতে হবে।
 
কোনো রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে বিআরটিএ থেকে নির্ধারিত সংখ্যক মোটরযান নিয়োজিত করতে হবে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসি) অনুমোদিত এলাকার জন্য কমপক্ষে ১০০টি, চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য ৫০টি, দেশের অন্যান্য মহানগর-শহর এলাকার জন্য কমপক্ষে ২০টি বাহন থাকতে হবে।
 
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় ব্যক্তিগত মোটরযান যেমন- মোটরসাইকেল, মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
 
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ব্যবহৃত মোটরযানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন- নিবন্ধন সনদ, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, ইনস্যুরেন্স, এনলিস্টমেন্ট সনদ হালনাগাদ থাকতে হবে।
 
রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রাপ্তির পর রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোটরযানের মালিক ও চালকের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি করতে হবে। যেখানে সব পক্ষের অধিকার এবং দায়-দায়িত্বের বিষয় উল্লেখ থাকবে।
 
মোটরযান মালিক বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এক মাস আগে লিখিত নোটিশের মাধ্যমে চুক্তির সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারবে।
 
নির্ধারিত স্ট্যান্ড, অনুমোদিত পার্কিং স্থান ব্যতিত কোনো রাইড শেয়ারিং মোটরযান যাত্রী সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যেখানে সেখানে অপেক্ষমাণ থাকতে পারবে না।
 
নীতিমালার অধীন একজন মোটরযান মালিক মাত্র একটি মোটরযান রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় পরিচালনার অনুমতি পাবেন।
 
ব্যক্তিগত মোটরযান নিবন্ধনের পর ন্যূনতম এক বছর অতিক্রম না হলে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় নিয়োজিত হতে পারবে না।
 
বিআরটিএ’র ওয়েব পোর্টালে রাইড শেয়ারিং প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলোর আওতাধীন সব মোটরযানের তালিকা শ্রেণীবদ্ধভাবে একটি মেন্যুতে রাখতে হবে। এতে যাত্রীর অভিযোগ জানানোর সুযোগ রাখতে হবে।  
 
নীতিমালার কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে প্রতিষ্ঠানের সনদ বাতিল ও কার্যক্রম বন্ধ করাসহ দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।