মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বেলাল মেম্বারের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শরীফ কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজি এলাকার তারু মিয়ার ছেলে।
তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কোমাল্লা গ্রামে আব্দুর হামিদের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘোলপাশা ইউনিয়নের মেম্বার বেলাল মিয়ার নানার বাড়িতে মোবাইল চুরি হয়। ওই ঘটনায় চোর সন্দেহে শরীফকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ধরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান বেলাল। সেখানে রাতভর ও সকালে শরীফকে মারধর করেন। দুপুরে ওই বাড়িতে শরীফের মৃত্যু হয়। দুপুরের পর বিষয়টি জানাজানি হলে বিকেলে পুলিশ মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
মেম্বার বেলাল বলেন, এ এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য মোবাইল, ল্যাপটপ, সিলিং ফ্যান চুরি হয়। সব চুরির সঙ্গে শরীফ জড়িত। সোমবার (৫ মার্চ) আমার নানুর বাড়িতে সিলিং ফ্যান ও মোবাইল চুরি করে শরীফ। আমি জানতে পেরে তাকে ধরে এনে কয়েকটা থাপ্পর দেই। এরপর তাকে রাতে ভাত খাওয়ার জন্য বলি। সে খায়নি। আজ আমার বাড়িতে সে মারা যায়। পরে পুলিশকে জানিয়েছি।
চুরির বিষয়ে পুলিশকে আগে জানাননি কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার বেলাল জানান, প্রতিদিন চুরি হয়। পুলিশ এসব গুরুত্ব দেয় না।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সব সময় সজাগ রয়েছে। আমাদের কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। শরীফের মৃত্যু হওয়ার পর আমাদের জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
আরআর