মঙ্গলবার (৬ মার্চ) একটি অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গত দশ বছরে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং প্রকল্পের প্রশংসা করেন শ্রিংলা।
‘সরকারের সিদ্ধান্তগুলো দু’দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন যৌথ প্রকল্পগুলো আরও বেশি স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। ’
ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে হাই কমিশনার বলেন, ত্রিপুরার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা খাটো করে দেখছে না ভারত। ত্রিপুরার ট্যুরিজম, বাণিজ্য ও বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অবদান অনেক।
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ও সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে সরকার একই সঙ্গে মানবিক ও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। আর কোনো পক্ষই প্রাথমিক মুহূর্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। রোহিঙ্গা সংকটের প্রাথমিক ধাক্কাটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছে। এখন তা সমাধান করা আন্তর্জাতিক মহলের দায়িত্ব।
সম্প্রতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ব্যাপারে শ্রিংলা বলেন, তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট স্কলার এবং অত্যন্ত সম্মানিত একজন ব্যক্তি। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে তার অবদান অনেক। কিন্তু একটি বিশেষ মহল সুনির্দিষ্টভাবে এ জাতীয় মানুষগুলোর জীবননাশের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র শুধু বাংলাদেশে নয়, তা বিরাজ করছে পুরো বিশ্বে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এনএইচটি/এএ