ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘ইলিশের স্যুপ’ রফতানি করবে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৮
‘ইলিশের স্যুপ’ রফতানি করবে বাংলাদেশ ইলিশের স্যুপ ও নুডলস তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর

ঢাকা: বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ইলিশের নুডলস এবং স্যুপ তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ড. একেএম নওশাদ আলম। এখন বাণিজ্যিকভাবে ইলিশের এই স্যুপ উৎপাদন করে দেশেরে মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তা বিদেশে রফতানি করা সম্ভব বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

মঙ্গলবার (০৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 
ইলিশের স্যুপ ও নুডলস তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অধিদফতর।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল।
 
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ৪১.৩৪ লাখ মেট্রিক টন। যার প্রায় ১২ শতাংশই ইলিশ। আমাদের ইলিশ স্বাদে, গন্ধে সবার সেরা। বর্তমানে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে এর ঈর্ষণীয় কদর। ইলিশের চাহিদার কথা চিন্তা করেই আমরা এর ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্ট উৎপাদন করছি। যা দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা যাবে। ফলে এখান থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো।
 
মন্ত্রী আরো বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। আবহমানকাল থেকে ইলিশ মাছ আমাদের জাতীয় অর্থনীতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রাণিজ আমিষের যোগান এবং দারিদ্র্য বিমোচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের জিডিপিতেও এ মাছের গুরুত্বপূর্ণ অবদান (১ ভাগ) রয়েছে। আবার উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের জীবিকার প্রধান উৎস হচ্ছে ইলিশ।
 
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যাদের এই স্যুপ তৈরির জন্য অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে তারা ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ এবং ‘মৎস্য ও মৎস্য পণ্য বিধিমালা-১৯৯৭’সহ বিদ্যমান বিধি বিধান অনুসরণ করে উৎপাদন করবে। তাছাড়া এ পণ্য বাজারজাত করতে বিএসটিআই ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
 
তবে এর দাম কেমন হবে সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেউই। তবে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
 
পরে উদ্ভাবিত এই স্যুপ তৈরির প্রযুক্তি মৎস্য অধিদফতর এবং ইউএসএআইডি ‘ভারগো ফিস অ্যান্ড অ্যাগ্রো প্রসেস লিমিটেডে’র কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
 
এরআগে স্যুপ তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ড. একেএম নওশাদ আলম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। এটা অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। যাদের মাছের কাঁটায় ভীতি আছে তারা অনায়াসে এ পণ্য ভোগ করে সারা বছর ইলিশের স্বাদ নিতে পারবে।
 
ভারগো ফিস অ্যান্ড অ্যাগ্রো প্রসেস লিমিটেডে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম বলেন, আমার কোম্পানিকে সরকার যে সুযোগ দিয়েছে তা আমাদের জন্য অনেক গর্বের। আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের এ আস্থার প্রতিদান দেবো।
  
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এসআইজে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।