বুধবার (৭ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালত শুনানি শেষে এ নির্দেশ দিন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহ মাজহারুল বাংলানিউজকে বলেন, ইসমাইল হোসেন অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত ৬ আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে।
কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকা থেকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ হন। এ ঘটনায় কুতুবপুর এলাকার মোশারফ হোসেন, নাছির উদ্দিন, কাইয়ুম, মামুন, সেলিম ও কাউছারের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে তারা অপহরণ করতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৬ আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে অপহণ হয়েছে দাবি করা হলেও আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি।
মামলার বাদী আব্দুল মান্নান জানান, ‘মামলা দায়েরের কয়েকদিন পর সিদ্ধিরগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের মাধ্যমে তৎকালীন সময় আদমজীনগর র্যাব-১১ এর সিও তারেক মোহাম্মদ সাঈদ মুক্তিপন হিসেবে ২ কোটি টাকা দাবি করেন। তাদের কাছে আমার ভাই ইসমাইল রয়েছে তার প্রমাণ হিসেবে এক সোর্সকে দিয়ে একটি চিরকুট পাঠায় তারেক সাঈদ। এরপর ১ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে আজও ইসমাইলকে ফেরত দেয়নি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
জিপি