ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মরমী কবি পাগলা কানাইয়ের ২০৮তম জন্মজয়ন্তী শুক্রবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
মরমী কবি পাগলা কানাইয়ের ২০৮তম জন্মজয়ন্তী শুক্রবার

ঝিনাইদহ: ‘জিন্দা দেহে মুরদা বসন, থাকতে কেন পরনা, মন তুমি মরার ভাব জান না, মরার আগে না মরিলে পরে কিছুই হবে না/আমি মরে দেখেছি, মরার বসন পরেছি, কয়েক দিন বেঁচে আছি, তোরা দেখবি যদি আয় পাগলা কানাই বলতেছি।’ এমন শত শত গানের স্রষ্টা মরমী কবি পাগলা কানাইয়ের ২০৮তম জন্মজয়ন্তী শুক্রবার (৯ মার্চ)।

এ উপলক্ষে কবির মাজার প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।

পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রথম দিনে কবির মাজারে পুষ্পমাল্য অপর্ণ, মিলাদ মাহফিল, লাঠিখেলা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও লোক সঙ্গীত অনুষ্ঠান।

দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোক সঙ্গীত ও নাটক। শেষ দিন ১১ মার্চ  রয়েছে কৌতুক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পালাগানের প্রতিযোগিতা।

পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

জানা যায়, লোক-সাধনা ও মরমী সঙ্গীতের এ কবি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে বাংলা ১২১৬ সালের ২৫ ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলা ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ় মৃত্যুবরণ করেন।

বাল্যকালে পিতৃহারা পাগলা কানাইয়ের টাকার অভাবে লেখাপড়া হয়নি। তিনি মানুষের বাড়ি রাখালের কাজ করেছেন। গরু চড়াতে গিয়ে ধুয়ো জারি গান গাইতেন। নিরক্ষর হলেও তার স্মৃতি, মেধা ছিল প্রখর। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গান রচনা করে নিজ কণ্ঠে পরিবেশন করতেন। তার সঙ্গীতে যেমন ইসলাম ধর্মের তত্ত্বকে প্রচার করেছেন, তেমনি হিন্দু-পুরান রামায়ণ ও মহাভারত থেকেও নানা উপমার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। এ কারণেই তার গান সর্বজনীনতা লাভ করে। তার মধ্যে বাউল ও কবিয়াল এ দুয়ের যথার্থ মিলন ঘটেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।