হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতেই মরদেহের পাশেই ফেলে রাখা হয় শশুরের ভোটার আইডি কার্ড। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলো না তার।
বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) দুপুরে পুলিশের কাছে এমনই তথ্য দিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের নায়ক আব্দুর রশীদ (২৫) নামে ওই যুবক।
রশীদ উপজেলার মির্জাপুর তেঘরপাড়া গ্রামের শুকার শেখের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার ভ্যান চালক শান্ত একই গ্রামের জয়নাল ফকিরের ছেলে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (৭ মার্চ) দিনগত রাতে মির্জাপুর তেঘরপাড়ায় মির্জাপুর-মাঝদিঘা সড়কের পাশে এমন এক হত্যাকাণ্ডের ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে রশীদকে আটক করা হয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার করে রশীদ পুলিশের কাছে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ছাতনী যাওয়ার কথা বলে শান্তকে ভ্যানসহ ডেকে নিয়ে যান রশীদ। রাত ১০টা পর্যন্ত শান্ত বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে তার পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি ফেরার কথা বলে রশীদ শান্তকে মির্জাপুর তেঘরপাড়া গ্রামের মির্জাপুর-মাঝদিঘা সড়কের পাশে এনে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যান।
একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে রাস্তার পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ভ্যানটি মরদেহের পাশেই ছিল। এসময় সেখান থেকে একটি ভোটার আইডি কার্ড জব্দ করা হয়।
পরে সকালে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি জানান, এ ঘটনায় নলডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানতে আটক রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
আরবি/