আটকের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা, ৫ লাখ ও ২ লাখ টাকার দুটি চেক পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় বরিশাল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন তাদের আটকের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, গত মার্চ থেকে বরিশাল জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে সম্পাদন করার লক্ষে আমরা কাজ করছি। যাতে যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ পায়।
পাশাপাশি কেউ যাতে পরীক্ষা নিয়ে কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে জন্য গোয়েন্দা তৎপরতাও অব্যাহত রাখা হয়েছে। আগামী ১১ তারিখে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এর আগে পরীক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে বরিশালের গৌরনদী থানাধীন নলচিড়া খানাবাড়ি এলাকার রেজাউল সরদার (১৯) ও শাহারিয়ার জয় (১৯) এর কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আটক ২ ওয়ার্ডবয় নগদ ৪ লাখ টাকা নিয়েছে।
তারা প্রার্থীদের টাকার নিশ্চয়তা হিসেবে জনতা ব্যাংকের আবু হানিফ বেপারীর একটি একাউন্ট থেকে ৫ লাখ ও ২ লাখ টাকার দুটি চেক প্রদান করেছে।
এ সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় মো. আবু হানিফ বেপারী (৫০), সায়েদুর রহমান খাঁন (৪৫) ও তাদের সহযোগী (মধ্যস্ততাকারী) গৌরনদীর বাসুদেবপাড়ার বাসিন্দা সেকান্দার হাওলাদার (৪৪) কে আটক করা হয়।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা ও চেক দুটি উদ্ধার করা হয়।
আটকের পর জানা গেছে, মধ্যস্থতাকারী সেকান্দার হাওলাদার ওয়ার্ডবয় মো. আবু হানিফ বেপারীর সম্পর্কে ফুপাতো ভাই।
পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, আটকদের রাতেই জব্দ আলামতসহ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন আরও বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এ ধরনের আরও কয়েকটি প্রতারক চক্রের খবর আমাদের কাছে রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে যারা যোগ্য বলে প্রমানিত হবে, তাদেরই কেবল কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মার্চ) লিখিত পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে মোবাইল ফোনের ফেসবুকের মাধ্যমে তা প্রচারের অভিযোগে পরীক্ষার্থী বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসিন্দা শেখ চন্দ্র শীল ও তার সহযোগী মো. মাইনুল ইসলাম শাওনকে আটক করা হয়।
পরের দিন তাদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
এমএস/এমএইউ/