রোববার ( ১১ মার্চ) ৩ নম্বর স্প্যান বসানোর পর পদ্মাসেতুর সবশেষ তথ্যে জানা যাচ্ছে, ১১৭টি পাইল নদীগর্ভে নিয়ে যাওয়া গেছে। নদীতলে নিয়ে যাওয়া বাকি আছে ১২৩টি পাইল।
তবে মাঝ নদী ও মাওয়া প্রান্তে কিছু পিলারে গভীরতা নিয়ে জঠিলতার কারণে পাইলসংখ্যা আরও কয়েকটি বাড়বে।
পদ্মাসেতুর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, কয়টা পাইল থাকবে কত গভীরতা তা আলাদা আলাদাভাবে নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। গভীরতা নিয়ে জঠিলতা তৈরি হওয়া এসব পাইলে ড্রাইভিং কাজ ৩১ মার্চের পরে শুরু হতে পারে।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সব মিলিয়ে পদ্মাসেতুর ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি স্প্যান মাওয়া প্রান্তে পুরো প্রস্তুত করে ক্রেনে টেনে নিয়ে পিলারের ওপর বসিয়ে দেয়া হবে। যেভাবে ৩টি স্প্যান বসানো হলো একই আদলে বাকি স্প্যানগুলো বসতে থাকবে। ’
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, সেতু নির্মাণে ৪২টি পিলারে ২৪০টি পাইল বসবে। ১১৭টি পাইল এরইমধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে। অর্ধেক ড্রাইভ হয়েছে আরও ১১টি পাইলের। একেকটি পিলার বা খুঁটিতে ছয়টি করে পাইল সাজানো হয়। ৫টি পিলারের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭, ৩৮ ও ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারে তিনটি সুপার স্ট্রাকচারের অংশ স্প্যান বসানো হয়ে গেছে। যার ফলে এখন সাড়ে ৪৫০ মিটার সেতুর কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে।
সেতু প্রকল্প সূত্র জানায়, নদীতে ২৪০টি ও মাওয়া-জাজিরার দু’পাশে ৩২টি ট্রানজিশন পাইল-সহ ২৭২টি পাইল ছিলো প্রথম পরিকল্পনায়। এখন দু’দফা ডিজাইন পরিবর্তন হলে পাইল সংখ্যা ছাড়াতে পারে পৌনে ৩শ’।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এসএ/এসএইচ