সোমবার (১২ মার্চ ) দুপুর ১টার দিকে নগর ভবনের তৃতীয় তলার সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বিসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বলেন, গত রোববার (১১ মার্চ) সমঝোতা মেয়রের মনোনীত প্রতিনিধিদের (কাউন্সিলরদের) সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ অবস্থায় আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে যদি সমঝোতা বৈঠকের ওই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে ১৪ মার্চ থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু হবে। সে হিসেবে ১৪ মার্চ থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি নগর ভবনের সব শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। তাতেও যদি কাজ না হয় তবে ১৮ মার্চ থেকে কঠোর কর্মসূচিসহ চলমান পানি, বিদ্যুৎ, নগর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা রাসেল খান, অ্যাসেসর কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. অহিদুল ইসলাম মুরাদ, একেএম হেলাল উদ্দিন, নূর খান, রেজাউল করীম, শানু জমাদ্দার ও জিয়া উদ্দিনসহ স্থায়ী ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বকেয়া-বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার দাবিতে কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিসিসির স্থায়ী ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক দুই হাজারের ওপর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা। কিন্তু দফায়-দফায় সমঝোতা বৈঠক হলেও কর্তৃপক্ষ এখনো তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়নি।
আন্দোলনরতরা জানান, বিসিসিতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে দুই হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব শেষ জানুয়ারি মাসে গত বছরের আগস্ট মাসের বেতন পেয়েছেন। সে হিসেবে এখন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬ মাসের বেতন বকেয়া। অপরদিকে, দৈনন্দিন মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের ৫ মাসের বেতন বকেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রভিডেন্ট ফান্ডের ২৩ মাসের অর্থ বরাদ্দ হয়ে ব্যাংকে যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এমএস/এসআরএস