স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ বছর ধরে ৫০ হাজার গ্রাহকের প্রায় শত কোটি টাকা ব্যাংকে জমা থাকলেও, ব্যাংক মুনাফার টাকার কোনো হদিস জানেন না এসব গ্রাহক। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংক মুনাফার টাকা গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একটি চক্র হাতিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে লাভবান হচ্ছে।
ভুক্তভোগী একজন জানান, গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে ময়মনসিংহে হাজার হাজার বাড়ি ও ফ্লাট নির্মাণ করেও ভাড়া দিতে পারছেন না মালিকরা। একইসঙ্গে প্রায় শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হলেও চালু হচ্ছে না গ্যাস সংযোগের অভাবে। ফলে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও লোকসানের মুখে রয়েছেন উদ্যোক্তা পর্যায়ের এসব গ্রাহকরা।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের একাধিক সূত্র জানায়, প্রায় ৬ বছর আগে ময়মনসিংহের ৫০ হাজার গ্রাহক গ্যাস সংযোগের আশায় চাহিদাপত্রের টাকা ব্যাংক জমা দিয়েছেন। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে রশিদ হাতে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে ঘুরাঘুরি করলেও সংযোগ মিলছে না।
স্থানীয় উদ্যোক্তা রমজান আলী জানান, বন্ধ গ্যাস সংযোগ চালু এখন ময়মনসিংহের দুই কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। তাছাড়া, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত এলাকায় আরও এক লাখ নতুন গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ দরকার।
সরকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখায় চরম ভোগান্তির মধ্যে থাকা এসব গ্রাহক আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ৫ এপ্রিল ময়মনসিংহ সফরে এসে বন্ধ গ্যাস সংযোগ চালুর ঘোষণা দিবেন।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক মসিউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, সরকারিভাবে সংযোগ বন্ধ থাকায় ৫০ হাজার গ্রাহক চাহিদাপত্রের টাকা ব্যাংকে জমা রাখলেও সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ব্যাংকে গ্রাহকদের শত কোটি টাকার মুনাফা বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যাংক মুনাফা সেন্ট্রাল অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।
সঙ্গত কারণেই এসব গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এমএএএম/এনএইচটি