রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফেনী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ জানান, এ রায়ে ন্যায় বিচার হয়েছে,আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে। রাষ্ট্র এ বিচারে সন্তুষ্ট।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিকেলে রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিচারক রায়ের অবজারভেশনে বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, নির্বাচন এবং ব্যবসায়িক প্রতিহিংসার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আমিন উল হক এ মামলার প্রধান আসামি মাহতাব উদ্দিন মিনারসহ অন্যান্য আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রায়ে ৩৯ জনকে ফাঁসি ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খালাস দেয়া হয় বাকি ১৬ আসামিকে।
বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন মিনার, যুবলীগ নেতা জিয়াউল আলম মিস্টারসহ ১৬ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
ফেনী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহম্মদ বাংলানিউজকে তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এ মামলায় আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আমিন উল হক। সেদিনই রায়ের তারিখটি (১৩ মার্চ) নির্ধারণ হয়।
ফেনী জজ কোর্টের পিপি হাফেজ আহম্মদ জানান, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে একরাম হত্যা মামলার টানা যুক্তিতর্ক শুরু হয়। সরকারি ও আসামি পক্ষের টানা যুক্তিতর্ক শেষে ১৩ মার্চ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ সর্বমোট ৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করেছে। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অদালত এ রায় দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান,আসামিদের মধ্যে ১৯ জন পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে রুটি সোহেল নামের একজন র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে।
২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমিস্থ বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি একরামুল হক একরামকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে, কুপিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাকে বহনকারী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনায় একই দিন রাতে নিহত একরামের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন মিনারকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ আগস্ট পুলিশ ৫৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এসএইচডি/এসএইচ