মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সিভিল এভিয়েশন কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
ওই সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এম নাইম হাসান বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন এয়ার লাইন্সের যে সব প্লেন চলছে তার প্রত্যেকটির এয়ার অর্ডিনেন্স রয়েছে।
‘বিশেষ করে এই এয়ারক্র্যাফটটির কথা আমি বলতে পারি এতে কোনো ত্রুটি ছিল না। কারণ এটা নেপাল যাওয়ার আগে আরও দু’টি ফ্লাইট পরিচালনা করে এসেছে। সকাল ৮টায় এবং ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট চালানো হয়েছে এটি দিয়ে। নেপালেরটা ছিল ওইদিনে এয়ারক্র্যাফটটির তৃতীয় ফ্লাইট। এর প্রতিটি ফ্লাইটের আগেই প্লেনের সব কিছুই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সুতরাং এটা প্রমাণিত যে প্লেনে কোনো সমস্যা ছিল না। তা নাহলে তো আগের দু’টো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারতো না। ’
আরও পড়ুন>>
** এটিসি’র ৬ কর্মকর্তা বদলি, প্রশ্নবিদ্ধ বলছে ইউএস-বাংলা
এভাবে পর্যায়ক্রমে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্লেনটি বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ মডেলের এস২-এজিইউ। এসব প্লেন টানা ১০ঘণ্টা চলে লন্ডনেও যাচ্ছে। তাছাড়া এই মডেলের প্লেনগুলো তৈরিই করা হয়েছে ৩০ মিনিট পরপর ফ্লাইট চালানোর জন্য।
তবে ঠিক কী কারণে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত শেষ না হলে কিছুই বলা যাবে না বলে জানান সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে, তা নির্দিষ্ট করা বলা মুশকিল। আর তদন্ত শেষ না হলে নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
নেপাল বিমানবন্দরের টাওয়ারের সঙ্গে বিধ্বস্ত প্লেনটির পাইলটের কথোপকথনের একটি রের্কড ছড়িয়ে পড়েছে। সে বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান বলেন, ‘আমিও ইউটিউব থেকে শুনেছি। কিন্তু এগুলো ভেরিফায়েড না। আমরা অ্যানালাইসিস করছি।
‘তাছাড়া ব্ল্যাকবক্সের তথ্য উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠালে তারা তথ্য ডিকোড করে সব বলতে পারবে। কোনো কিছুই গোপন থাকবে না। ’
এর আগে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে যায় বিএস২১১ ফ্লাইটটি। এতে পাইলট, ফার্স্ট অফিসার, কেবিন ক্রুসহ ৫০ জনের মতো আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এসআইজে/এমএ