আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বৈঠক করেন।
সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপক অভিযোগের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব শফিউল আলম সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে প্রাথমিকভাবে বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাঠ প্রশাসনে কঠোর নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হবে।
‘প্রশ্নফাঁস রোধে ডিসি (জেলা প্রশাসক), টিএনও (থানা নির্বাহী কর্মকর্তা), ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনার সিদ্ধান্ত হয়েছে’।
প্রশ্নপত্র ব্যবস্থাপনাতেও নজরদারি বাড়ানো এবং কঠোর তদারকির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব।
তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র সটিং, বিতরণে অবশ্যই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা থাকবেন। এছাড়া ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ থেকে কেন্দ্রে পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি উপস্থিত থাকবেন। ম্যাজিস্ট্রেটসহ দায়িত্বশীল তিন কর্মকর্তার উপস্থিতি ছাড়া প্রশ্নপত্রের খামের নিরাপত্তা ট্যাগ খোলা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনও করা যাবে না।
‘প্রশ্নপত্র ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হলে কিংবা দায়িত্ব পালনে গাফিলতি হলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না’।
প্রশ্নফাঁস ঠেকানো ও নকলমুক্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরীক্ষার্থীকে আধঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা, কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কারো মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার বিষয়গুলো সভায় আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস