বুধবার (১৪ মার্চ) সকালে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের দেওডোবা এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলাল ওই ওয়ার্ডের ডাঙিরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
পুলিশ ও আলালের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আলালের সঙ্গে তার স্ত্রী আজেদা পারভীনের প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর আগে আজেদা ২-৩ বার স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি আলাল দেওডোবা কুড়ারপাড় এলাকায় জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ ও গরুর খামার করে। সেখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন আলাল। সোমবার (১২ মার্চ) পাশের গ্রামের পাঠানপাড়া এলাকার এক কবিরাজের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন আলাল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। বুধবার সকালে বাড়ির পাশে একটি সেচ পাম্পের ভেতর আলালের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের পরিবারের তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি বাবুল মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
আরআইএস/