বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে কুমুদিনী পরিবারের পক্ষ থেকে কমপ্লেক্সের জান্ডা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীরা ছাড়াও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
শোক সভায় কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। এসময় শ্রেয়ার সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের পরিচালক (শিক্ষা) প্রতিভা মুৎসুদ্দির সভাপতিত্বে আলোচনা করেন- কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাদা, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল জলিল, অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ হালিম, কুমুদিনী হাসপাতাল অ্যান্ড মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. দুলাল চন্দ্র পোদ্দার, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রিনা ক্রুস, ভারতেশ্বরী হোমসের প্রতিনিধি হেনা সুলতানা ও শ্রেয়ার সহপাঠীরা। এর আগে শ্রেয়ার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শ্রেয়া ঝা নেপালের মাহোত্রারী সানফা-৩ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবার নাম লাকসমান ঝা ও মার নাম মাধুরী ঝা। শ্রেয়া কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে পঞ্চম বর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ছাত্রী ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, রোববার মেডিকেল কলেজের টার্ম পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সময় নেপাল থেকে শ্রেয়া ঝা তার দাদার মৃত্যু সংবাদ পান। সংবাদ পেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে পরদিন সোমবার সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। শ্রেয়া’র মর্মান্তিক মৃত্যুতে কুমুদিনী পরিবার শোক প্রকাশ করে কালো ব্যাচ ধারণ করছে।
শ্রেয়ার সহপাঠী পিও কর্মকার ও তার স্বদেশি শিক্ষার্থীরা জানায়, শ্রেয়া ঝা সদা হাসোজ্জ্বল থাকত। সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকত এবং সে আমাদের খুব ভাল বন্ধু ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
আরএ