বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনার রাতে ছিনতাই হওয়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে শৈলকুপা থানার হাবিবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মিজান নামে একজনকে গ্রেফতার করি আমরা।
পরে মিজানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে আটটার দিকে শৈলকুপা থানার হাবিবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে দুর্লভ এবং একই থানাধীন হাজামপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বিল্লালকে গ্রেফতার করি।
এসময় তাদের কাছ থেকে উপাচার্যের ছিনতাই হওয়া মোবাইল এবং ২০ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির সময় ছিনতাই হওয়া এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ও নগদ ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এসময় তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বড়দাহ ব্রিজের নিচ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি রামদা, একটি চাপাতি, দু’টি গাছ কাটা চায়না করাত, দড়ি ও মানকি টুপি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর দুইজনের মধ্যে আলম নামে একজন পলাতক এবং অপরজন ডাকাতি মামলায় মাগুরা জেলায় আটক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে শৈলকুপা থানার বড়দাহ নামক এলাকায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর ওপর হামলা করে ডাকাতরা। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় দু’টি মামলা করেছে প্রশাসন। এর একমাস না যেতেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যম্বুলেন্সে হামলার ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
আরএ