বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সকালে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ইমরান। এর আগে বুধবার (১৪ মার্চ) রাতে স্ত্রী সুমাইয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।
সুমাইয়া জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের সরোষপুর গ্রামের আবুবকর শেখের মেয়ে। ইমরান একই গ্রামের জাফর বিশ্বাসের ছেলে।
সুমাইয়ার চাচী হেনা বেগম মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, সাত মাস আগে একই গ্রামের ইমরানের সঙ্গে আমরা পারিবারিকভাবে সুমাইয়াকে বিয়ে দেই। এরপর থেকে সেখানে সংসার করছিল সুমাইয়া। বুধবার বিকেলে সুমাইয়া ইমরান আমাদের (সুমাইয়ার বাবার বাড়ি) বাড়ি থেকে ইমরানের বাড়িতে যান। পরে রাত ১১টার দিকে সুমাইয়ার মৃত্যুর খবর শুনে আমরা ইমরানের বাড়িতে যাই। তখন ইমরানকে দেখেছি। ইমরানের সঙ্গে সুমাইয়ার কোনো রকম ঝগড়া বিবাদ ছিল না। তবে বিয়ের সময় ইমরানকে একটি ভ্যান গাড়ি দেয়ার কথা ছিল। সেটা দিতে দেরি হওয়ায় ইমরান সুমাইয়াকে হত্যা করতে পারে। এছাড়া আর কোনো কারণ নেই।
হেনা আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ আসার খবর পেয়ে নিজ ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন ইমরান।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ মো. খায়রুল আনাম বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। দুই পরিবারের কেউ এখনো থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
আরবি/