বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হোলাসুজোত এলাকার পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
তবে কি করে তারা অচেতন হলেন তা বলতে পারছে না পরিবারের লোকজন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বাড়িতে রান্না করা ভাত, তরকারি, পানি ও চা খাওয়ার পর থেকে পরিবারের সদস্যদের পর্যায়ক্রমে মাথা ঘুরানো, ঝিমুনিসহ ঘুম ঘুম ভাব দেখা দেয়। এরপর একে একে সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত ১০টায় ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন। তবে তারা বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের ডা. মোসারফ হোসেন।
অচেতন ১৩ সদস্য হলেন- উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হোলাসুজোত এলাকার মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫), তার পরিবারের সদস্য আইনুল ইসলাম (২৮), ফেরদৌস (১৮), আঞ্জুমান আক্তার (১৫), শিমুলি আক্তার (২০), অনিমা আক্তার (৬), অরণ্য (৫), রাসেল (১০), অয়ন (৭), মনির হোসেন (২২), ময়না আক্তার (৫০), আসিয়া খাতুন (২৫) ও শিশু আদিব (৮ মাস)।
ঘটনার পর পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে তাদের দেখতে যান। এ সময় তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, একইভাবে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ভজনপুর নয়াবড়ী গ্রামে পাথর ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে পানির ট্যাংকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চুরি করে দুর্বৃত্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
আরবি/