উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বাংলাদেশকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রধান ৫টি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শনিবার ( ১৭ মার্চ) বাংলানিউজকে এ সম্পর্কে যে চ্যালেজ্ঞগুলো রয়েছে তা বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের যে সূচক অর্জন করেছে তা ধরে রাখা একটি বড় বিষয়। এটা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয় হল আমাদের অন্যান্য যে অর্থনৈতিক ও দুর্বলতা রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে হবে।
আমরা ছয় বছর পর আরো অনেক শক্তি ও গুনমান সম্পন্ন অর্থনীতিকে নিয়ে নতুন পর্যায়ে উত্তরণ করব।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রথমত: যে দেশগুলো আগে এমন পর্যায় অতিক্রম করেছে তাদের অভিজ্ঞতায় বলে, বৈদেশিক সাহায্য কমে যাবে। এ জন্য রেমিটেন্সের ওপর চাপ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প অর্থায়ানের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। বিকল্প বৈদেশিক অর্থায়ান কীভাবে করা যায়? সহজ শর্তে বা রিয়াতি সুদে এটা জোগার করা একটি বড় বিষয়।
দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশ রফতানি একটা মাত্র পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। তা হলো তৈরি পোশাকখাত। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ কীভাবে নতুন পণ্যকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নেবে সেটাও বড় বিষয়।
তৃতীয়ত: বাংলাদেশে শ্রমের উৎপাদনশীলতা অনেক কম। এ জন্য বিশেষ করে কৃষি ও শিল্পের ক্ষেত্রে শ্রমের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।
চতুর্থত: যেহেতু অর্থায়ন কমে যাবে এবং নিজস্ব শক্তিতে এগুতে হবে। সে জন্য কর আহরণের হার বাড়াতে হবে। অন্যান্য দেশের দিকে তাকালে দেখা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে কর আহরণের হার দেশজ আয়ের তুলনায় অনেক কম।
পঞ্চমত: এ সমস্থ দেশ যারা এ ধরনের উত্তরণ ঘটিয়েছে, দেখা গেছে তাদের দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আরো বেড়েছে। বাংলাদেশকে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য শুধু অবকাঠামো নয় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা গুরুত্ব পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
কেজেড/এসএইচ