তিনি বলেছেন, অন্য এলাকার তুলনায় পুরান ঢাকা এলাকায় মশার প্রাদুর্ভাব কম। এরপরও মশাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রেখে নাগরিক জীবনে স্বস্তি দিতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোরে ‘মশক বাহিত রোগ প্রতিরোধ ও মশক নিয়ন্ত্রণ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ‘স্বচ্ছ ঢাকা’ কর্মসূচির আওতায় এ সভার আয়োজন করা হয়।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে পুরান ঢাকা এলাকায় মশার উপদ্রব তুলনামূলক কম। তবে ডিএসসিসি এলাকার পাশ্ববর্তী ইউনিয়নগুলোতে মশার উপদ্রব রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সেসব এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণ রেখে নাগরিকদের স্বস্তি দিতে।
‘কিউলেক্স মশা সাধারণত প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে না। কিন্তু অস্বস্তি দেয়। এসব মশা নির্মূলে আমরা এরই মধ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমরা কিউলেক্স মশাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে কাজ করছি। ’
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে আজই কর্মপন্থা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করে দেবো। বর্ষা মৌসুমে হয়তো চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। সেজন্য বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।
ডিএসসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দীন, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. রেজা মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ডা. কবিরুল বাশার, আইসিডিডিআর’বি এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নুজহাত নাসরিন বানু, সেফওয়ে পেস্ট কান্ট্রোলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মঞ্জুর চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এসএম/এমএ