এ ঘটনায় পুলিশ রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ৩০ লাখ ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধারসহ চারজনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন- মো. হুমায়ুন কবির, মো. সাইফুল ইসলাম, স্বপন দত্ত ও মো. সাইদুর রহমান।
সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন।
এর আগে রোববার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে জাল রুপি তৈরির সঙ্গে জড়িত এ চারজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের একটি টিম।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল বাতেন বলেন, গ্রেফতারকৃত হুমায়ুন জানিয়েছেন তিনি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জাল টাকা, পরবর্তীতে ভারতীয় জাল রুপি তৈরি, বিপণন করে আসছেন। জাল টাকার গুরু হিসেবে খ্যাত দুরুজ্জামানের হাত ধরেই হুমায়ুন এ পথে আসেন। জাল রুপি তৈরি ও বিপণনে গ্রেফতারকৃত হুমায়ুনের আপন ছোট ভাই কাওছারসহ আটক বাকি তিনজন মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। সাইদুর জাল রুপি তৈরির পেপার বিশেষ প্রক্রিয়ায় সালিড প্রয়োগ করে প্রস্তুত করে। সাইদুরের তৈরি জাল টাকার বিশেষ পেপার প্রতি পিস তিন থেকে চার টাকায় কেনেন হুমায়ুন।
তিনি বলেন, জাল টাকা তৈরি এবং বিপণন একটি টেকনিক্যাল বিষয় এবং এক্সপার্টদের কাজ। হুমায়ুন একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলো। তাদের নিজস্ব আইনজীবী রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হলে ওই আইনজীবীরাই জামিন করিয়ে দেন। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আয় করে আইনজীবীদের টাকা পরিশোধ করেন। ওই আইনজীবীরাও বেশ ডেডিকেটেড।
আবদুল বাতেন বলেন, তাদের তৈরি জাল রুপি বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাচার করা হয়ে থাকে। সেখানে একটি গরুর হাট রয়েছে। সেখান থেকেই মূলত ভারতীয় জাল রুপি বিক্রি করে থাকে চক্রটি।
তিনি আরও বলেন, আগে পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ভারতে জাল রুপি আসতো। বর্তমানে সেই রুট কঠিন হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে জাল রুপি কিনতে পারেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
রোববার আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৩০ লাখ জাল ভারতীয় রুপি, কার্টিজ (বিশেষ কাগজ), স্কেল গ্লাস স্কিন এবং প্রিন্টার উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯,২০১৮
এমএসি/জেডএস