পরে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ফয়সাল ও জহিরুল ইসলাম জনি নামে দু'জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পূর্ব বিভাগের একটি দল।
সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল বাতেন।
তিনি বলেন, রোববার (১৮ মার্চ) রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ফয়সাল ও জনিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পূর্ব বিভাগের একটি দল। পরে ঘটনার তদন্তে জানা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে ভুয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করতো সুমন। ফয়সাল নামে ওই যুবককে নিজের পোর্টালে লভ্যাংশসহ চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সুমন। কিন্তু লভ্যাংশ তো দূরের কথা চাকরিও পাইনি সে। ফয়সাল পাওনা টাকা দাবি করলে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে সুমন। পরে টাকা না পেয়ে সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে ফয়সাল।
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ফয়সাল ও জনি পরিকল্পনা করে গত ৭ মার্চ সুমনের অফিসে যান। পরে কৌশলে সুমনের চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। চা খেয়ে সুমন ঘুমিয়ে পড়লে ফয়সাল ও জনি মিলে শ্বাসরোধ করে এবং মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হত্যা করে তাকে। পরে মরদেহ খাটের নিচে রেখে কম্পিউটার ও মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরদিন সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ফয়সাল ও জনিকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান বাতেন।
এর আগে, গত ৯ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ী ৩১নং শহীদ ফারুক রোডের একটি বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কটটেপ পেঁচানো অবস্থায় সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা মার্চ ১৯, ২০১৮
এমএসি/আরআইএস/