সোমবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে নেপালে আহত রোগীদের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আবুল কালাম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অস্ত্রোপচার কক্ষে প্রায় দুইঘণ্টা সময় নিয়ে আহত শাহীনের ড্রেসিং সম্পন্ন করা হয়।
এরআগে রোববার (১৮ মার্চ) বিকেল ৩টা ২০মিনিটে ইউএস-বাংলার তত্ত্বাবধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি০৭২ ফ্লাইটে আহত শাহীনকে ঢাকায় আনা হয়। সেখানে থেকে বিকেল ৫টা ৮ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছায়। বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
এ নিয়ে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন। নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় তিনিসহ অন্য যাত্রীদের বহনকারী ফ্লাইটি ছেড়ে আসে। শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর শাহীনকে সরাসরি ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আহত শাহীনকে ৬ তলায় কেবিন নিয়ে যাওয়া হয়।
শাহীন বেপারী লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নের বান্দেগাঁও গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্ত্রী-কন্যা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস করেন। শাহীন বেপারী বাংলাদেশ শান্তি সংঘের সদস্য এবং ঢাকা সদরঘাট এলাকার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটিতে মেসার্স করিম অ্যান্ড সন্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। কোম্পানি থেকে বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণে নেপাল গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এজেডএস/ওএইচ/