পুরো আর্মি স্টেডিয়ামে শোকের আবহ। আর কিছুক্ষণ পরেই এখানে নামাজে জানাজা হবে কাঠমান্ডুর ওই প্লেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ২৩ জনের।
সোমবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্লেন থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামিয়ে সেখান থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হবে ২৩ কফিন। এই কফিনের অপেক্ষায় স্টেডিয়ামে আগে থেকেই উপস্থিত ২৩ জনের স্বজনেরা। তাদের কান্না ভারী করে তুলেছে স্টেডিয়ামের আকাশ-বাতাসকে। গুমরে গুমরে কেঁদে উঠে তারা যে বেদনা প্রকাশ করছেন, তাতে যেন বিদীর্ণ হচ্ছে পুরো দেশের হৃদয়।
সাদা গ্লাডিওলাস আর গোলাপের মঞ্চে লাল গালিচায় সাজানো মঞ্চ। ছবি: বাংলানিউজ
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের ওই প্লেন। এতে প্রাণ হারান মোট ২৬ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে শনাক্ত করে দেশে আনা হচ্ছে ২৩ জনের মরদেহ, শনাক্ত প্রক্রিয়ায় রয়ে গেছে আরও তিনজনের মরদেহ।
যাদের মরদেহ নিয়ে আসা হচ্ছে, তারা হলেন- উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, -বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
যাদের মরদেহ থেকে যাচ্ছে, তারা হলেন- পিয়াস রায়, নজরুল ইসলাম ও আলিফুজ্জামান।
বিমানবন্দরে ২৩ জনের মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহগুলো আসবে আর্মি স্টেডিয়ামে। এরপর এখানে অনুষ্ঠিত হবে নামাজে জানাজা। এসময় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
পরে স্বজনদের কাছে ২৩ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এসএ/এইচএ/