ঢাকা, রবিবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশাল নগরের বর্জ্য অপসারণ বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
বরিশাল নগরের বর্জ্য অপসারণ বন্ধ বর্জ্য অপসারণ না করায় দুর্গন্ধের বিড়াম্বনায় নগরবাসী। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে টানা এক মাস ধরে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

৩০তম দিন সোমবার (১৯ মার্চ) আন্দোলনরতরা নগর ভবনের সব শাখায় তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি পালন করতে দেখা গেছে।

পাশাপাশি কর্মচারীদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

ফলে রোববার (১৮ মার্চ) থেকে বরিশাল নগরের সব জায়গা থেকে বর্জ্য অপসারণ বন্ধ রয়েছে।

নগরের বিভিন্ন সড়কের পাশে করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানগুলো ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছে। এতে ময়লা আর দুর্গন্ধের কারণে ব্যাপক বিড়াম্বনার মধ্যে দিন পাড় করছে নগরবাসী।

বিসিসি’র শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. শানু জোমাদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, মাসের পর মাস বেতন বকেয়া থাকায় শ্রমিকদের বাকির দোকানের তাগাদা, ঘর ভাড়ার, সন্তানের স্কুলের বেতনের তাগাদসহ নানান কষ্টে রয়েছেন। অনেকে ভাড়া না দিতে পারায় তাদের ঘর থেকে ও নামিয়ে দিয়েছে বাড়ির মালিক। সেজন্য শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।  

এদিকে শ্রমিকরা ময়লা পরিষ্কার বন্ধ করে দিলেও পানি ও বিদ্যুৎ সেবা এখনো পাচ্ছেন নগরবাসী। তবে পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ মার্চ থেকে এই সেবাও বন্ধ থাকার কথা ছিলো।

আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, ১৮ মার্চ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত করা হয়নি। তাই পানি, বিদ্যুৎ, নগর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সেবা বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শ্রমিকরা কাজে না গেলে সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ শ্রমিকরা বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার জন্য কর্মবিরত, অবস্থান কর্মসূচিসহ মানববন্ধন করে আসছে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক দুই হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা। কিন্তু দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। তবে আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকেই কর্মবিরতি পালন করলেও নগরবাসীর সুবিধার্থে পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ ও নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছিলো।

আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, বিসিসিতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ২ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব শেষ জানুয়ারিতে গত বছরের আগস্ট মাসের বেতন পেয়েছে। সে হিসেবে এখন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। অপরদিকে দৈনন্দিন মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের ৫ মাসের বেতন বকেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রভিডেন্ট ফান্ডের ২৩ মাসের অর্থ বরাদ্দ হয়েও ব্যাংকে যায়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এমএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।