ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সদরঘাটে ঈদফেরত যাত্রীদের ঢল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৮
সদরঘাটে ঈদফেরত যাত্রীদের ঢল ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছেন যাত্রীরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদুল আজহা শেষে কর্মমুখী মানুষ ফিরছেন ঢাকাতে। রোববার (২৬ আগস্ট) ভোর ৫টা থেকেই সদরঘাটে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো ভিড়তে শুরু করে। যাত্রী নামিয়ে সকাল ৭টা থেকেই আবার রুট অনুযায়ী খালি বা অল্প যাত্রী নিয়ে ফিরে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।

সরকারি ছুটি শেষে রোববার কার্যদিবস শুরু হওয়ায় যাত্রীচাপ বেড়েছে।

এদিকে ঈদ উপলক্ষে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও নদীর বিভিন্ন জায়গায় চরের কারণে লঞ্চ আটকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঢাকামুখী যাত্রীদের।

 

ভোলা থেকে আগত এমভি ভোলা লঞ্চটি সকাল ১০টায় সদরঘাটে ভিড়েছে। লঞ্চটির যাত্রী মো. রাজিব বাংলানিউজকে বলেন, এটা ভোলা থেকে ছেড়ে আসা শেষ অতিরিক্ত লঞ্চ ছিল। তাই এত দেরি করে এসেছে। না হলে ভোর ৫টার মধ্যে সদরঘাটে থাকতে পারতাম।  লঞ্চটা মাঝখানে চরে আটকে গিয়েছিল, যে কারণে আরও আধা ঘণ্টা বেশি সময় লেগেছে।  

ঈদ উপলক্ষে ৫০ থেকে ১শ’ টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যাত্রী রাজিব আরও বলেন, ভোলা থেকে লঞ্চের ডেকে ভাড়া ২শ’ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছে আড়াইশো, অনেকে ২৭০ বা ৩শ’ টাকা দিয়েও এসেছে।

হাতিয়া থেকে আগত মীর হাসান নামের আরেক যাত্রী বাংলানিউজকে জানান, ডেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া ৩শ’ টাকা। কিন্তু আমি ৩৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে এসেছি।  

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবির বাংলানিউজকে জানান, ঈদে যাত্রীদের সর্বোচ্চ চাপ আজকেই ছিল। কারণ আজ থেকেই সরকারি ছুটি শেষে কর্মদিবস শুরু হচ্ছে। ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল। যেসব লঞ্চ ঘাটে ভিড়েছিল সেগুলো সব ছেড়ে গেছে। কয়েকটা এখনও যাচ্ছে। আর যাত্রীদের স্বার্থে ট্রাফিক পুলিশ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ পুলিশ, আনসার ও র‌্যাবের একটি দল কাজ করছে।

এদিকে ঘাটে লঞ্চ ঢুকতেই বিআইডব্লিউটিএ'র পক্ষ থেকে ঘাট মেরামতের কাজ মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে এবং সে অনুসারে ঠোকাঠুকি বন্ধ রেখে সুষ্ঠুভাবে ঘাটে লঞ্চ ভিড়ানোর অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

ঢাকা-বরগুনা-ঢাকা রুটের এমভি সুন্দরবন-৫ লঞ্চটির কর্মচারী জানান, ঘাটে এখন লঞ্চ অনেক বেশি। এজন্য ঘাটে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, লঞ্চগুলোতে তাই ঠোকাঠুকি হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা যাত্রী নামানোর পর ঘাটে দাঁড়াতে দেন না। এ কারণে দ্রুত কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় ঘাটের ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবির বাংলানিউজকে আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাত্রীবোঝাই লঞ্চগুলো পন্টুনে এসে ধাক্কা দিলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা এজন্য মালিকদের চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করি। তবুও ভালো ফলাফল পাচ্ছি না।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।