সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে ওই তরুণী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় তার শরীরে ছিল গেঞ্জি ও চাদর।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ওই তরুণীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তরুণীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। তিনি লঞ্চ যোগে সদরঘাটে এসে নামেন। সেখান থেকে তার সৎ বোনের গুলিস্তানের বাসায় যান। পরে সেখানে অজ্ঞাত চার ব্যক্তি তাকে গণধর্ষণ করে। তবে কবে তিনি ঢাকায় এসেছেন তা জানাতে পারেনি।
তবে গণধর্ষণের শিকার তরুণীকে দেখে মনে হয় মানসিক কোনো সমস্যা আছে বলে জানান এএসআই বাবুল।
ঢামেক হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী চিকিৎসক বিলকিস বেগম বাংলানিউজকে জানান, ওই তরুণীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য গাইনি ওয়ার্ডে রেফার করা হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায় ওই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি রাজধানীতে চাকরির আশায় তার সৎ বোনের বাসায় আসেন তিনি। গত রাতে সেখানে গণধর্ষণের শিকার হন। সকালে এক ধর্ষক তাকে ঢামেক হাসপাতলের সামনে ফেলে রেখে পালিয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ওই তরুণী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসার পর তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এজেডএস/আরআইএস/