ডিবির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল বাদী হয়ে দু’টি মামলা দায়ের করেন। যেখানে একটিতে সরকারি কাজে বাধা ও অপরটিতে ডিবি সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ তোলা হয়।
সোমবার (২৭ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।
দু’টি মামলার একটিতে ৫০ ও অপরটিতে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া একটি মামলায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ও মাইলাইফ নামে ফাস্টফুড দোকান মালিক জালাউদ্দিন, তার স্ত্রী রিনা বেগম, দুই ছেলে আলামিন ও রবিনের নাম উল্লেখ করা হয়। অপর মামলায় এ চারজনসহ সহযোগী সাইদুরের নাম উল্লেখ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৬ আগস্ট) রাতে খানপুর বরফকল খেয়াঘাট সংলগ্ন চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসি পার্কের সামনে মাইলাইফ কেয়ার ফাস্টফুড নামে একটি দোকানে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেতে যান এএসআই আমিনুল ও এএসআই বকুল। এ সময় মিল্কসেইক খাওয়ার পরে ওই মিল্কসেইকটি ভালো হয়নি দাবি করে বিল দিতে রাজি হয়নি দু’জন। তখন তাদের সঙ্গে ফাস্টফুডটির মালিক ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি জালালের ছেলে আলামিন ও রবিন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় যুবলীগ নেতা জালাল ও তার স্ত্রী রিনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে এলে ডিবির দুই এএসআই তাদের মারধর করেন। এতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুই এএসআইকে বেধড়ক পিটুনি দেন। খবর পেয়ে ডিবির পরিদর্শক মাসুদ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজান ও এসআই সায়েম ঘটনাস্থলে এলে লাঠিসোটা দিয়ে তাদেরকেও বেধড়ক পিটুনি দেয়া হয়। পরে অতিরিক্ত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
আহতদের মধ্যে ডিবির এসআই মিজান, এসআই সায়েম, যুবলীগ নেতা জালাল, ছেলে আলামিন ও রবিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
আরবি/