সোমবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাহমিদা কাদের তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন হীরু শাহজাদপুর পৌর এলাকার দরগাপাড়া মহল্লার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম এতথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের তিন মামলায় দুপুরে আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন ইকবাল হোসেন হিরু। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়ি রেলক্রসিং এর পাশে ছাত্রদল নেতা শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রেললাইনের পাশ দিয়ে অবস্থান নেয়। সমাবেশের শেষের দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বিএনপির ৬ নেতাকর্মী নিহত হয়। প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ওই ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানা, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা, ফায়ার সার্ভিস, পার্বতীপুর জিআরপি থানা, র্যাব-১২ এর পক্ষ থেকে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়।
এসব মামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এরই মধ্যে তিনটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ইকবাল হোসেন হিরু।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০১৮
আরএ