সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে শিকদার মিজানুর রহমান ও পিকুল মোল্লা পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন।
সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরীকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান এবং মহম্মদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক পিকুল মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে রোববার সকালে চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান সমর্থক তোরাফ ও জালেক মোল্যাকে পিকুল এবং তার সমর্থকরা ঘুল্লিয়ায় নিজ এলাকায় পেয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় বিনোদপুর বাজারে শিকদার মিজানুর রহমানের সমর্থকরা পিকুলের সমর্থক সাইফারকে কুপিয়ে জখম করে।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
রাত ৮ থেকে শুরু হয়ে প্রায় ভোররাত পর্যন্ত দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। এ সময় ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
খবর পেয়ে মহম্মদপুর থানা পুলিশ ও মাগুরা থেকে আসা রিজার্ভ পুলিশ ৫২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ১৯ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে প্রায় ৬ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আওয়াল, আব্দুল্লাহ, রফিকুল, সিরাজুল, ও তোকাদ্দেস নামে ৫ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ২৮ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের মধ্যে দবির হোসেন নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিনোদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান ও পিকুল মোল্যার কাছে সংঘর্ষের কারণ জানতে চাইলে উভয়েই পরষ্পরকে দায়ী করেন।
মাগুরার পুলিশ সুপার (এসপি) খান মোহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, রাতের আঁধারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বেগ পেতে হয়েছে। তবে ফের যেন সংঘর্ষ না ঘটে সেজন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
আরএ