সোমবার (২৭ আগস্ট) রাজাপুর থানার পুলিশ লিমাকে তার মা নাজু বেগমের কোলে তুলে দেয়।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট লিমা নলছিটি উপজেলার বাড়ইকরণ গ্রাম থেকে পথ হারিয়ে রাজাপুর উপজেলা সদরে চলে যায়।
পুলিশ জানায়, লিমার বাবা মায়ের ছয় বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে লিমা ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাসন্ডা গ্রামে তার মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে থাকতো। মাঝে মধ্যে লিমাকে তার বাবা নিজের কাছে নলছিটিতে নিয়ে রাখতেন। ঈদের সময় বাবার অনুরোধে লিমাকে তার নানী নলছিটিতে পৌঁছে দেয়। কিন্তু ঈদের দুইদিন পর লিমা কারো কাছে কিছু না বলে মায়ের কাছে আসার উদ্দেশে সবার অজানতে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বিষখালী নদীর পাড়ে এসে একটি যাত্রীবাহী ট্রলারে ওঠে পড়ে। ট্রলারটি লিমাকে ঝালকাঠিতে নামিয়ে দেয়। পরে লিমা ঝালকাঠি থেকে একটি যাত্রীবাহী বাসে ওঠে রাজাপুর উপজেলায় চলে যায়। গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজাপুর উপজেলার সাউথপুর গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম লিমাকে কাঁদতে দেখে রাজাপুর সদরে নিয়ে আসে। এ সময় লিমা তার নিজের ও মা-বাবার নাম ছাড়া কিছু বলতে না পারায় বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান তিনি। পরে লিমাকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়।
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা লিমার ছবিসহ হারানোর খবরটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সকালে ফেসবুকে লিমার ছবি দেখে চিনতে পারে বনি-আমিন বাকলাই নামে ঝালকাঠির একজন আইনজীবী। পরে তিনি লিমার মাকে বিষয়টি জানালে রাজাপুর থানায় যোগাযোগ করেন লিমার মা নাজু। দুপুরে লিমাকে তার মায়ের হাতে তুলে দেয় রাজাপুর থানা পুলিশ।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, হারিয়ে যাওয়া লিমাকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লিমাকে যারা পরিবারের কাছে ফিরে যেতে সহযোগিতা করেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ওসি শামসুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/