সোমবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার শেরপুর-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের সুখানগাড়ী গ্রামের একটি জলাশয় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রফিকুল ভবানীপুর ইউনিয়নের শেখর গ্রামের মৃত গাজিউর রহমানের ছেলে।
ভ্যানচালক রফিকুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘাতকরা অন্য কোথাও তাকে হত্যার পর অটোভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়। পরে একটি জলাশয়ে তার মরদেহ ফেলে যায় বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার (২৫ আগস্ট) অটোভ্যান নিয়ে যাত্রী পরিবহনের জন্য বাড়ি থেকে বের হন চালক রফিকুল। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। রোববার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকেই পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় তার খোঁজ করেন। পরে তার সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে সুখানগাড়ী গ্রামের একটি জলাশয়ে এক ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিখোঁজ রফিকুলের মরদেহ সনাক্ত করেন স্বজনরা।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থ থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে অটোভ্যানের সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এমবিএইচ/এসআরএস