বিকেল ৫টার মধ্যেই পুরো টইটুম্বুর ছিল বরিশাল নদী বন্দর এলাকা ও লঞ্চগুলো।
প্রতিটি লঞ্চের ডেক ও ছাদের জায়গা শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রথম শ্রেণীর কেবিনের সামনের করিডোরেও অবস্থান নেয় যাত্রীরা।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, বিগত দিনেও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে কোনো লঞ্চকেই বন্দর ত্যাগ করতে দেয়া হয়নি। লোড লাইন দেখে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী হলেই লঞ্চগুলোকে পল্টুন ত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো আবেদনই গ্রহণযোগ্য হবে না।
এদিকে, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বরিশাল নদী বন্দরে পুলিশ কন্ট্রোলরুমের পাশাপাশি যাত্রীসেবায় কাজ করছে রোভার স্কাউটের সদস্যরা। পাশাপাশি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া না পর্যন্ত বন্দরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। তবে এরমধ্যে ডেকের জায়গা বিক্রির অভিযোগ রয়েছে লঞ্চ স্টাফদের বিরুদ্ধে।
পারাবত লঞ্চের যাত্রী কালাম হাওলাদার জানান, দুপুরে লঞ্চঘাটে এসে দেখি লঞ্চের দোতলার ডেকে কোনো জায়গা নেই। পরে এক স্টাফ এসে একটা চাদর দেখিয়ে বললো ওই জায়গায় দু’জন যেতে পারবেন ২শ’ টাকা দিলেই হবে। বাধ্য হয়েই নিয়ে নিলাম।
দিবা ও রাত্রিকালীন সার্ভিসে বরিশাল থেকে আজ ঢাকার উদ্দেশে ১৮টি লঞ্চ, স্টিমার যাত্রী নিয়ে রওয়ানা দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এমএস/আরবি/