সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ফারজানার পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিরিঞ্চি এলাকার একটি বাসায় দীর্ঘদিন যাবত স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন শাকিবুল।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী শাকিবুলকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। গত কিছুদিন যাবত তাদের বনি-বনা হচ্ছিলো না।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী শাকিবুলকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে দাগনভূঞায় উপজেলার উত্তর জায়লস্কর গ্রামের মালেক মাস্টার বাড়ি থেকে আরজুনা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি মাফিয়া খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর জায়লস্কর গ্রামের মৃত সৈয়দ আহমদের ছেলে একরামুল হক ছুট্টর সঙ্গে ফেনী সদর উপজেলার বারাহিপুর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের মেয়ে আরজুনার গত সাত মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরজুনা জানতে পারেন তার স্বামীর সঙ্গে বড় ভাইয়ের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনমালিন্য চলছিল। গত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াও হয়। সকালে আরজুনাকে তার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে বাড়ি লোকজন পুলিশে খবর দেয়। দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আরজুনার মামা মো. হানিফ অভিযোগ করেন, তার ভাগ্নিকে, স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছেন। পরে তারা লোকের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছে আরজুনা আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাগ্নির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এসএইচডি/আরআইএস/