বুধবার (২৯ আগষ্ট) সকালে সরেজমিনে পাটাগ্রাম এলাকায় গেলে বাংলানিউজকে এমন আতঙ্কের কথা জানান স্থানীয়রা।
জেল হোসেন, হবিবর রহমান, আমির হোসেন ও মুকুল হোসেনসহ পাটাগ্রাম এলাকার অনেকেই বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে ১৯৯৯ সালে পাটাগ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামকে যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষায় ২শ’ মিটার এই স্পারটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কিন্তু গত জুলাই মাস থেকে স্পারটির নিচের মাটিতে ধস শুরু হয়। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে এ স্পারটি। জরুরি ভিত্তিতে বিধ্বস্ত স্থানগুলো সংস্কার না করলে যেকোন মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। এতে গান্ধাইল ইউনিয়নের পাটাগ্রাম, খুকশ্যা, বাইখোলা ও সদর রতনকান্দী হাটসহ বেশ ক’টি গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পাটাগ্রাম স্পার নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। ওই স্পারটিসহ যমুনা নদীর তিনটি স্পার শক্তিশালীকরণ, উপজেলার ৭.২ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ ও ৪টি ক্রসবার বাঁধ নির্মাণে প্রায় ৯শ’ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট, ২০১৮
আরএ