ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জনগণের সেবা করাটাই আমার প্রথম কর্তব্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
জনগণের সেবা করাটাই আমার প্রথম কর্তব্য ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

ঢাকা: আজীবন মানুষের সেবা করে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের সেবা করাটাই আমাদের কাজ। ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের বস্তু না। ক্ষমতা হচ্ছে দায়িত্বপালন। কাজেই এ দায়িত্বটাই পালন করতে চাই।

তিনি বলেন, শুধু ভোট পাওয়ার জন্য নয়, আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক অঙ্গীকার থেকে জনগণের কল্যাণে নিবেদিত।
  
বুধবার (২৯ আগস্ট) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের চারপাশের ৮ জেলার ২০টি উপজেলায় কমিউনিটিভিশন সেন্টারের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।


 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ক্ষমতা কোনো ভোগ বা বিলাসের বস্তু নয়। এটা আমাদের কর্তব্য। জাতির পিতার কাছ থেকে এটা আমরা শিখেছি।
 
তিনি বলেন, আমি সব সময় মনে রাখি যে আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে গেছেন। কাজেই জনগণের সেবা করাটাই আমার প্রথম কর্তব্য। মানুষের সেবা করাটাকে আমি কর্তব্য হিসেবে দেখি।
 
বিশ্ববিখ্যাত ভারতের অরবিন্দ আই কেয়ার ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, শিশু চক্ষুরোগ, ছানি অপারেশন, চোখের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষাসহ  চোখের প্রায় সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দরিদ্র্য রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
  
কমিউটিনি ভিশন সেন্টারগুলোতে চক্ষু রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি রোগ শনাক্ত করা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালেপাঠানো হবে।
 
মানুষের দৌরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
চক্ষু চিকিৎসায় এ সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে মানুষে যে চিকিৎসা সেবাটা পাচ্ছে, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা- যেমন মানুষের চোখে ছানি পড়া, গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক চক্ষু রোগী, রেটিনোপ্যাথি, কিশোর চক্ষুরোগ, চোখের আঘাতসহ অন্যান্য চক্ষু রোগ শনাক্ত করা এবং প্রাথমিকভাবে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে। পরে আরো উন্নত সেবার জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এ চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে।
 
চক্ষু রোগে আক্রান্তদের সচেতনতা ও চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
 
চক্ষু চিকিৎসকসহ এ সেবায় জড়িতদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,একজন মানুষের দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবে, সে তার আপনজনকে দেখবে, এ সুন্দর পৃথিবীকে দেখবে- এটা যে কত বড় মহান মানবতারকাজ।
 
চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এ ২০ কোটি টাকার একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই টাকা থেকে লাভ আসবে তা দিয়ে সারা দেশের দরিদ্র্য জনগণের চোখের চিকিৎসা করা হবে।
 
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে আজীবন ত্যাগ স্বীকার করে যাওয়া সংগ্রামী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, সচিব  সিরাজুল হক খান প্রমুখ।
 
আরও বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক।

গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।