বুধবার (২৯ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বৈশ্বামুড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বাসের যাত্রী রোবিনা নূর (৫০), তার মেয়ে সাবিনা নূর (৩২), ইয়াছিন (৭ মাস)।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে বাবুল (৩০), সাকির (২৮), হাফিজ (৫০), মনোয়ারা (৫০) ফয়সাল (১৬), রেহেনা (৩০), রাশেদ (২৮), হোসেন (৪০), গিয়াস (৩৬), বাবুল (৬৪), সালাউদ্দিন (৬৫), জাহাঙ্গীর (২৬), সুমন (৩০), ও খায়েরের (১০) রাম জানা গেছে।
বাসের আহত যাত্রী বাবুল ও সুমন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যখন ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে এই বাসে উঠি তখন থেকেই চালক বাসটি দ্রুতগতিতে চালাতে থাকেন। নংসিংদী জেলায় আসার পর এনা পরিবহনের অপর একটি বাস দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। তখন ঘণ্টাখানেক সেখানে আটকে থাকার পর পুনরায় বাস ছাড়লে তখন চালকের গতি আরো বেড়ে যায়। তখন থেকেই বাসের সব যাত্রীরা বার বার ধীরে সাবধানে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করলে চালক কারো কথা শোনে নাই। তখন বেপোরয়া গতির কারণে ব্রেক ধরতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসেন সরকার দুর্ঘটনার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে সিলেটগামী এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈশ্বামুড়া এলাকায় মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক শারফুল হাসান ভূইয়া জানান, খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ও মাধুবপুরের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮/আপডেটেড: ১৬৫৫ ঘণ্টা
আরএ