বুধবার (২৯ আগস্ট) সকালে বেনাপোল থেকে দেশের অভ্যন্তরে দূরপাল্লার গন্তব্যের যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঢাকার অনিমেষ রায় ঈদে লম্বা ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য।
ভারত ফেরত যাত্রী চট্টগামের কামাল হোসেন বলেন, চিকিৎসা শেষ করতে এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে। ছুটি শেষে অফিস খুলেছে। এখন জরুরি ঘরে ফেরা প্রয়োজন। বাসে তো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। যশোর থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কোনো এয়ারলেইন্সেও টিকিট নেই।
বেনাপোল স্থলবন্দরের এয়ার টিকিট এজেন্ট টাইম ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের প্রতিনিধি হাসান বলেন, সড়কপথে বেহাল অবস্থার কারণে দিন দিন আকাশপথে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ায় এবার ঈদে এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট সংখ্যাও বাড়িয়েছে। তারপরেও সংকট থেকে যাচ্ছে। ঈদের পরের দিন থেকে অধিকাংশ প্লেনের টিকিট নেই।
তবে আগামী সপ্তাহ থেকে স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
রাজা বাদশা মানিচেঞ্জারের স্বত্ত্বাধিকারী আবুল বাশার বলেন, ব্যবসা, চিকিৎসা ও ভ্রমণের কাজে এপথে দিন দিন যাত্রী যাতায়াত বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা বাড়েনি। প্রতিবছর ঈদ, পূজাসহ বিশেষ উৎসবের সময় এ রুটে বাসের টিকিট না পেয়ে যন্ত্রণা ভোগ করতে দেখা যায় পাসপোর্ট যাত্রীদের।
বেনাপোল শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দীন বলেন, ঈদের ছুটিতে যারা ভারতে গিয়েছিলেন তাদের অনেকে ফিরতি টিকিট কেটে গিয়েছিলেন। এছাড়া কলকাতা থেকেই অধিকাংশ সিট তাদের বুকিং হয়ে গেছে। এখন যারা আসছেন কোনো সিট দিতে পারছি না। তবে সামনের সপ্তাহ থেকে এই সংকট নিরসন হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, গতবারের তুলনায় এবার ঈদে যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারেন এজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এজেডএইচ/এএ